হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের উদ্বোধন এ বছরের শেষের দিকে বা আগামী বছরের প্রথম দিতে হতে পারে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রী ফারুক খান। যদিও কাজ বাকি মাত্র ৩ শতাংশ।
তৃতীয় টার্মিনাল পরিদর্শন শেষে ফারুক খান আরও বলেন, ঢাকা নিউইয়র্ক ফ্লাইট চালু করার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র নতুন নতুন শর্ত যুক্ত করে দিচ্ছে যা রাজনৈতিক কিনা তার জানা নেই।
বিদেশে থেকে এসে ইমিগ্রেশন শেষ করে এই সিঁড়ি দিয়েই যাত্রীরা দুই তলা থেকে নেমে যাবেন নীচ তলায়। যেখানে গিয়েই পাবেন সারিসারি ব্যাগের বেল্ট। সুবিশাল এই বেল্ট এলাকায় আধুনিক মেশিনপত্র বসে গেছে।
তৃতীয় টার্মিনালে ঢুকেই এখন বিশালত্ব আর সৌন্দর্যের ঝলকে যেকোনো বাংলাদেশিই আলোড়িত হবেন। চেক ইন কাউন্টারগুলো পুরোপরি তৈরি। চলছে সফট ওয়ার ইন্টিগ্রেশনের কাজ।
এই মেয়াদে দায়িত্ব নেয়ার পর প্রথমবারের মতো তৃতীয় টার্মিনালের কাজ দেখতে গিয়ে মন্ত্রী জানালেন, মাত্র ৩ ভাগ কাজ বাকি থাকলেও যা আছে তা সফট্ওয়ার নির্ভর ও জটিল ইন্টিগ্রেশনের কাজ।
বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রী ফারুক খান বলেন, এই বছরের শেষে বা আগামী বছরের প্রথমে আমরা পুরো দমে কাজ শুরু করতে পারবো।
বাংলাদেশে থেকে যেকোনো গন্তব্যে ভারতের চেয়ে ভাড়া বেশি। এর জন্য এয়ার লাইন্সগুলো দায়ী করে সিভিল অ্যাভিয়েশনের পার্কিং, ল্যান্ডিংসহ নানা ধরনের চার্জ অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক বেশি। তাই তাদের বেশি দামে টিকেট বিক্রি করতে হয়। অতিরিক্ত এই চার্জের কথা মন্ত্রী স্বীকার করে তার ব্যাখ্যাও দেন।
মন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশে পার্কিং চার্জ একটু বেশি। এটার কারণও আছে। সিভিল এভিয়েশন অনেক কাজ তাদের নিজেদের টাকায় করে।
ঢাকা নিউইয়ার্ক ফ্লাইট চালু না হবার পিছনে মন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল অ্যাভিয়েশন অথোরিটিকে দায়ী করেন।